মেয়ের শরীর খুব একটা ভাল নেই। খবরটা পেয়েছিলেন স্ত্রীর কাছ থেকেই। তাই সোমবার (১৭ অক্টোবর) স্ত্রীকে ফোন করে মেয়ের শরীরের খবর নেন পাইলট অনিল সিংহ। এটি ছিল ভারতের উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথের কাছে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার আগে স্ত্রীর সঙ্গে তার শেষ কথা। মঙ্গলবার আরিয়ান অ্যাভিয়েশনের ছয় আসনের একটি হেলিকপ্টার বেল ৪০৭ (ভিটি-আরপিএন) তীর্থযাত্রীদের নিয়ে কেদারনাথ মন্দির থেকে গুপ্তকাশীর দিকে যাচ্ছিল। পৌনে ১২টা নাগাদ গরুড়চট্টিতে দেব দর্শিনীর কাছে সেটি ভেঙে পড়ে পাইলট-সহ সাত জনের মৃত্যু হয়।
কর্মসূত্রে মেয়ে ফিরোজাকে নিয়ে মুম্বাইয়ে থাকেন পাইলট অনিলের স্ত্রী অনিন্দিতা। পেশায় তিনি লেখক। চলচ্চিত্র নিয়ে লেখালেখি করেন। স্বামীর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে অনিন্দিতা বলেন, সোমবার শেষ কথা হয়েছিল অনিলের সঙ্গে। আমাদের মেয়ের শরীর ভালো নেই। ওকে ভালোভাবে দেখাশোনা করার জন্য বলেছিল।
তার পরই মঙ্গলবার অনিলের মৃত্যুর খবর পান অনিন্দিতা। গত সেপ্টেম্বরেই আরিয়ান অ্যাভিয়েশনের পাইলট হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন অনিল। সেনাবাহিনীতে পাইলটের কাজ করতেন তিনি। স্বামীর মৃত্যুতে কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই অনিন্দিতার। তার কথায়, এটি একটি দুর্ঘটনা। কারও বিরুদ্ধে আমার কোনও অভিযোগ নেই। তিনি আরও জানান, পাহাড়ি এলাকায় ঘন ঘন আবহাওয়া বদলে যায়। দুর্যোগের কবলে পড়তে হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।